সহকারী শিক্ষক (১১ম গ্রেড) – ভূমিকা ও গুরুত্ব
১.ভূমিকা ও দায়িত্বসমূহ
প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের সহায়তামূলক কাজ সম্পাদন করা, যেমন: উপস্থিতি রেকর্ড রাখা, পাঠদান উপকরণ প্রস্তুত করা, এবং শিখন পরিবেশ পরিচালনায় সহায়তা করা ।
শ্রেণিকক্ষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
ছাত্রদের অগ্রগতির বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন করা।
প্রয়োজন অনুযায়ী পাঠ পরিকল্পনা ও উপকরণ সামঞ্জস্য করা, বিশেষজ্ঞ শিক্ষার চাহিদা মেটানোর জন্য ।
২. সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
১১ম গ্রেডকে প্রাথমিক পর্যায়ের সহকারী শিক্ষকের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এই গ্রেড অনুযায়ী বেতন নির্ধারণের দাবি করে এসেছে সহকারী শিক্ষকরা ।
এই দাবির অধীনে তারা চাইছেন, সহকারী শিক্ষকেরা যেন যথাযথ শ্রেণিতে (১১ম গ্রেড) বেতন পান এবং সেবামূলক উৎকর্ষ বজায় থাকে।
৩. অব্যাহত বিষয়গুলো ও চাহিদা
বর্তমান প্রস্তাবিত কর্মধারা ও বেতন কাঠামো নিয়ে সমালোচনা এবং ১১ম গ্রেডে নিশ্চিতভাবে বেতন পাওয়ার দাবি, বেতন উন্নয়ন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, এবং দ্রুত পদোন্নতি প্রক্রিয়া চালুর চাহিদা প্রবলভাবে উঠেছে ।
৪. সামগ্রিক সারসংক্ষেপ
সহকারী শিক্ষক (১১ম গ্রেড) শিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকেন।
তাঁর দায়িত্বসমূহে প্রশাসনিক ও শিক্ষণগত কাজের সমন্বয় রয়েছে।
বর্তমান সময়ে, সহকারী শিক্ষকরা অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বীকৃতির জন্য ১১ম গ্রেডে স্থায়ীভাবে বেতন কাঠামোর দাবি তুলছেন।
নিচে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ‘১১তম গ্রেড’ সংক্রান্ত যৌক্তিক দাবিসমূহ নিয়ে একটি টেক্সট দেওয়া হলো—যেটি প্রতিবাদের প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে:
সহকারী শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি সংক্রান্ত ব্যাখ্যামূলক লেখা
১. ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ (প্রবেশ পর্যায়)
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে কর্মরত, যেখানে প্রধান শিক্ষক ১১তম গ্রেডে—এর ফলে দুই গ্রেড পার্থক্য রয়েছে ।
তাই, সহকারী শিক্ষকদের দাবি: “শুরুর বেতন ১১তম গ্রেডেই নির্ধারণ করা হোক”—যা মর্যাদাশীল, সংহতিমূলক ও ন্যায্য বিবেচিত হয় ।
২. গ্রেড প্রাপ্তিতে জটিলতা নিরসন (১০ ও ১৬ বছরের পর)
সেবা নিয়ম অনুসারে, তারা নির্দিষ্ট সময়সীমা (১০ বছর ও ১৬ বছর) পূর্তির পর উচ্চতর গ্রেড পান; কিন্তু প্রশাসনিক বিধিতে জটিলতা রয়েছে যা তাদের প্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করে ।
তাই, এই জটিলতা দূর করতে এবং স্বচ্ছভাবে গ্রেড প্রদান দ্রুত করতে দাবি তুলেছেন ।
৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি ও দ্রুত প্রক্রিয়া
বর্তমানে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি সীমিত সংখকেই দেওয়া হয়—যা দীর্ঘমেয়াদে অনিশ্চয়তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাই, ১০০% পদোন্নতির সুযোগ এবং পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় গতি আনার দাবি তুলেছেন শিক্ষকরা ।
দাবিগুলোর অর্থ ও সময়োপযোগিতা
এই তিন দফা দাবি—১১তম গ্রেড থেকে বেতন নির্ধারণ, জটিলতা নির্মূল এবং শতভাগ পদোন্নতি—সামগ্রিকভাবে ‘গ্রেড বৈষম্য’ দূর করে শিক্ষকদের যোগ্যতা ও অবদানের ভিত্তিতে মর্যাদা প্রদানের দাবি তুলে ধরে।
এগুলি সামাজিক ন্যায়, কর্ম-উৎসাহ, আর একে অপরের সাথে সুশৃঙ্খল সাংগঠনিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কিন্তু কিছু বিশ্লেষক মনে করেন—অন্তর্বর্তীভাবে বাছাই করা সময় (যেমন, পাঠদানের পরিহাসে কর্মবিরতির সময়) শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য উপযুক্ত নয় ।
সংক্ষিপ্ত সারমর্ম (বুলেট আকারে)
দাবি যৌক্তিকতা
প্রবেশ পর্যায়ে ১১তম গ্রেডে বেতন প্রধান শিক্ষকের গ্রেড (১১ম) ও সহকারী শিক্ষকের গ্রেড (১৩ম) মধ্যে সমতা আনতে চাওয়া
গ্রেড প্রাপ্তিতে জটিলতা নিরসন সেবা বৎসর অনুযায়ী উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা
সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদোন্নতি (১০০%) ক্যারিয়ার প্রবাহ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করা।